সুইট বাটারের কিছু উপকার-
১. ক্যানসারের আশঙ্কা কমায়
আসলে সুইট বাটারে থাকে বিটা ক্যারোটিন। এটা গিয়ে শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। আর দেখা গিয়েছে যে এই বিটা ক্যারোটিন ক্যানসারের আশঙ্কা কয়েকগুণ কমাতে পারে। তাই এই খাবার আপনি খেতে পারেন।
২. শরীর সুস্থ রাখে
বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে যে কম পরিমাণে সুইট বাটারে আপনি প্রতিদিন খেতেই পারে। এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম। এছাড়া এমন কিছু উপাদান এই খাবারে আছে যা ওজন বাড়তে দেয় না। এছাড়া লো ফ্যাট ডায়েটে অবশ্যই রাখা যেতে পারেন এই খাবার। তাই শরীর সুস্থ রাখতে অবশ্যই খান সুইট বাটার। এভাবেই ভালো থাকতে পারবেন।
৩. চোখের জন্য ভালো সুইট বাটার
সুইট বাটার আপনি নিয়মিত খান চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য। এক্ষেত্রে বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন রুখে দিতে পারে এই খাবার।
৪. হাড় সুস্থ রাখে সুইট বাটার
সুইট বাটারে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন কিন্তু শরীরের জন্য ভালো। এমনকী হাড় গঠনে এই ভিটামিনের জুড়ি মেলা ভার। এক্ষেত্রে অস্টিওপোরোসিস দূর করে দিতে পারে এই খাবার।
সুইট বাটার এবং মার্জারিন চেনার উপায়:
১. মার্জারিন দেখতে চকচকে ভাব থাকে একটু বেশি। দুধের সুইট বাটার অতিরিক্ত চকচকে হবে না। একটা স্বাদাটে ক্রিম কালার ভাব থাকবে।
২. সুইট বাটার যদি ১০০% খাঁটি হয় তাহলে গরমে গলে নরম হয়ে যাবে নরমাল ফ্রীজে রাখলে আবার সেটা ঠিক হয়ে যাবে। আর ভেজাল মিশ্রিত মাখন গরমে গলে যায় না।
৩. দুধের তৈরী সুইট বাটার হালকা জলীয় একটা ভাব থাকবে যেটা মার্জারিনে থাকবে না।
৪. দুধের তৈরী সুইট বাটার অয়েলি ভাব বেশি থাকে আর মার্জারিনে চকচকে দেখা যায়।
৫. দুধের সুইট বাটারে একটা ঘ্রাণ থাকে যেটা মার্জারিনে থাকে না বরং ভালো ফ্লেভার থাকে।
৬. দুধের তৈরি সুইট বাটার পানি দিয়ে ধুলে সেটা স্বাদ অপরিবর্তিত থাকবে এমনকি আরো সুস্বাদু হবে। কিন্তু মার্জারিন পানি দিয়ে ধুলে সেটা স্বাদ গন্ধ বিলীন হয়ে যাবে।
৭. দুধের তৈরি সুইট বাটার সাধারণত ফ্রিজের বাইরে দু-তিন দিনের বেশি থাকে না, নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু মার্জারিন মাসের পর মাস ফ্রিজের বাইরে থাকলেও সহজে নষ্ট হবে না।
৮. দুধের তৈরি সুইট বাটারে খাঁটি দুধের ঘ্রাণ বিদ্যমান থাকবে আর মার্জারিনে বিভিন্ন কালার, প্রিজারভেটি ও ফ্লেভার থাকে।
৯. দুধের সুইট বাটার খেলে যে স্বাদ পাবেন মার্জারিনে তা অনুভব করবেন না। আর একবার দুধের সুইট বাটার খেলে তখন আর মার্জারিন খেতে চাইবেন না।
আমাদের সুইট বাটারে কেন খাবেন?
আমরা আমাদের সুইট বাটার ঘরোয়া পরিবেশে খাঁটি গরুর দুধের পাস্তুরিত ক্রিম থেকে তৈরি করে থাকি। পাস্তুরিত(জ্বাল দেয়া) বিধায় সুইট বাটারে থাকা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস হয়ে যায়, তাই এই সুইট বাটার সহজে নষ্ট হয় না। কাঁচা দুধের ক্রিমের সুইট বাটার থেকে এটা অত্যন্ত সুস্বাদু এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাই নিশ্চিন্তে এটি আপনার বাচ্চা এবং পরিবারের সবার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
